বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন

 বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন শুনতে অবাক লাগলে ইহা সত্যি 

বাঁশের চাল, এটা মুয়ালারি নামেও পরিচতি। গবেষণা মতে, এটা বনাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। বাঁশের চাল মূলত মরা বাঁশের অঙ্কুরিত বীজ, যা একটি বাঁশের জীবনকালের শেষ দিকে হয়। যেখান থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হয় সেই বয়স্ক গাছে ফুল ধরতে অনেক বছর লাগে। তাই এই চাল সহজলভ্য নয়।  

রান্নায় বাঁশের চালঃ


রান্নার ক্ষেত্রে এটা অন্য চালের মতোই এবং এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। রান্নার পর যে গঠনগত উৎকর্ষতা পাওয়া যায় সেখানেই এর ভিন্নতা রয়েছে। এটা বেশি চিবাতে হয় ও ভেজাভেজা ভাব থাকে এবং এই চাল খিচুড়ি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় বেশি।


উচ্চমাত্রায় প্রোটিনঃ


এক গবেষণায় বলা হয়, এতে যে কোনো ধরনের চাল ও গমের চেয়েও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। একই সঙ্গে এটি হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, পিঠের ব্যথা ও বাতজনিত ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা বাঁশের চাল নিয়মিত খেলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এটার ডায়বেটিস প্রতিরোধের গুণ আছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন ওষুধি গুণ থাকার কারণে বাঁশের চাল তাদের কাছে দারুন পছন্দের হতে পারে। এটা গর্ভবতী মায়ের জন্য ভিটামিনের অভাব পূরণে খুবেই উপকারী এবং কফ, পিত্ত দোষের মতো সমস্যাগুলো নিরাময়ের জন্যও খুব কার্যকরী। এটি খাবারের জগতে নতুন, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারে ভরপুর। যদিও গবেষকরা এর ব্যাপক সম্ভবনার বিষয়টি অনুভব করলেও ব্যবসায়ীরা ভাবছেন- সময়ই বলে দেবে মানুষ এটা পছন্দ করবে কিনা। 

Comments

Popular posts from this blog

আত্মসম্মান

পৃথিবীর শেষ প্রান্ত

ভালোবাসুন জীবনের ঠিক শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত