Posts

Showing posts from June, 2021

আত্মসম্মান

Image
উফফ এতো সকালে কে ফোন করলো। একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফোনটা হাতে নিল শ্রী। ফোনের স্কিনে রং নাম্বার দেখে একরাশ বিরক্তি নিয়ে ফোনটা তুললো শ্রী। ফোনের ওপার থেকে হ্যেলো বলা মাএ শ্রী বুঝতে পারল এ তার বহু পরিচিত কন্ঠস্বর। আজ প্রায় সাত বছর পর সে কন্ঠস্বর শুনতে হবে একবার ও ভাবেনি শ্রী।  - হ্যালো শ্রী আমি দেবার্ঘ্য বলছি। চিনতে পেরেছে আশাকরি। একবার তোমার সাথে দেখা করতে চাই শ্রী। আমায় কি ক্ষমা করা যায় না।   কথাগুলো শুনে শ্রী উওর না দিয়েই ফোনটা রেখে দিল। হঠাৎই তার চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ল।       এখনকার শ্রী আর  সাত বছর আগের শ্রী এর মধ্যে আজ অনেক তফাৎ।                  এখন সে শহরের নামকরা নৃত্যশিল্পী শ্রীলেখা ভট্টাচার্য। চারিদিকে তার নাম ডাক মানুষের মুখে মুখে।। যশ খ্যাতি তার তকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।       আর  আজ থেকে ঠিক সাত বছর আগে শ্রী অত্যন্ত শান্ত সাধাসিধে এক মেয়ে। না ঠিক আধুনিকা বললে চলে না তাকে, একটু ঘরোয়া স্বভাবের মেয়ে সে ছোটো থেকেই।                সবেমাত্র ইউনিভার্সিটি পাশ করেছে শ্রী। নৃত্যে ভীষণ পারদর্শী। তখনই দেবার্ঘ্য এর বাড়ি থেকে বিয়ের সম্বন্ধ আসে। শ্রী এর বাবা মায়ের বেশ পছন্দ হয়ছিল

বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন

Image
 বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন শুনতে অবাক লাগলে ইহা সত্যি  বাঁশের চাল, এটা মুয়ালারি নামেও পরিচতি। গবেষণা মতে, এটা বনাঞ্চলে বসবাসরত আদিবাসীদের আয়ের প্রধান উৎস। বাঁশের চাল মূলত মরা বাঁশের অঙ্কুরিত বীজ, যা একটি বাঁশের জীবনকালের শেষ দিকে হয়। যেখান থেকে এই চাল সংগ্রহ করা হয় সেই বয়স্ক গাছে ফুল ধরতে অনেক বছর লাগে। তাই এই চাল সহজলভ্য নয়।   রান্নায় বাঁশের চালঃ রান্নার ক্ষেত্রে এটা অন্য চালের মতোই এবং এর স্বাদ খুবই মিষ্টি। রান্নার পর যে গঠনগত উৎকর্ষতা পাওয়া যায় সেখানেই এর ভিন্নতা রয়েছে। এটা বেশি চিবাতে হয় ও ভেজাভেজা ভাব থাকে এবং এই চাল খিচুড়ি রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় বেশি। উচ্চমাত্রায় প্রোটিনঃ এক গবেষণায় বলা হয়, এতে যে কোনো ধরনের চাল ও গমের চেয়েও উচ্চমাত্রায় প্রোটিন রয়েছে। একই সঙ্গে এটি হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা, পিঠের ব্যথা ও বাতজনিত ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। যাদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তারা বাঁশের চাল নিয়মিত খেলে এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এটার ডায়বেটিস প্রতিরোধের গুণ আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন ওষুধি গুণ থাকার কারণে বাঁশের চাল তাদের কাছে দারুন পছন্দ

Anti Venom

Image
 পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপের কামড়ে হাতি মারা যায়, কিন্তু একটা প্রাণী মরে না। প্রাণীটির নাম ঘোড়া। সাপের কামড়ে কোনদিন ঘোড়া মরে না। তিনদিন অসুস্থ থাকে। তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই ঘোড়া থেকে আসে দুনিয়ার সব সাপের বিষের প্রতিষেধক "anti venom". কোন একটি সাপ, ধরুন কিং কোবরা’র anti venom তৈরি করতে হলে যা করতে হয় তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। একটু বেশি পরিমাণ ঢোকালেও সমস্যা নেই। ঘোড়ার কিছু হবে না। কিছু হবে না বলতে, ঘোড়া মরবে না। ঘোড়া তিনদিন অসুস্থ থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের anti venom তৈরি হয়ে যাবে। এবার ঘোড়ার শরীর থেকে কিছু পরিমাণ রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে পাঠানো হয়। মানুষকে সাপে কামড়ালে সরাসরি ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়। ভারতে অনেক অ্যান্টি ভেনাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি আছে। পালের পর পাল ঘোড়া তাদের মূল সম্বল। ঘোড়া না থাকলে সাপের কামড় খেয়ে মানুষের বাঁচার সম্ভাবনা থাকতো না।

কাক-মা জানত তার বাসায় কোকিলের ডিম।

Image
সে চুপিসারে কোকিল-মাকে তার বাসা থেকে বেরোতে দেখেছিল। বাসায় ফিরে সে গুণে দেখেছিল, তার বাসায় ডিমের সংখ্যাবৃদ্ধি ঘটেছে।  জানলেও সে কিচ্ছুটি বলল না কাউকে। ধৈর্য ধরে ডিমে তা দিল, বাচ্চা হলে তাকে পোকাটা-মাকড়টা খাইয়ে বড় করল। সে জানত, এই অবোধ শিশু একদিন ভিনস্বরে গেয়ে উঠবে গান, আলাদা করে নেবে নিজেকে। সবই জানত কাক-মা, কিন্তু বুঝতে দিল না কাউকে। সবাই ভাবল, তার মত বোকা আর কেউ হয় না, তাকে বারবার বোকা বানিয়ে যায় কোকিল-মা। দুনিয়ার কাছে বোকা হয়েও সে চুপ করেই থাকল, নইলে কি হত কোকিলের ছানাগুলোর? জন্মই  যে হত না তাদের ! জন্ম না হলে কেই বা গাইত বসন্তদিনের অমন বন-মাতানো মন-মাতানো গান ? মা যে তাদের উড়নচণ্ডী ! বাসা বানানোর ধৈর্য নেই, সারাক্ষণ শুধু উড়ে-উড়ে সুরে-সুরে ঘুরে-ঘুরে বেড়াচ্ছে।  তাকে অবশ্য দোষ দেয় না কাক-মা। সবাই কি আর একরকম হয় ? সে নিজে কি অমন গাইতে পারবে কোনদিন ? যে পারে সে নাহয় একটু কম সংসারী হলই ! তার ছানাদের বড় করে দিতে কোনও আপত্তি নেই কাক-মায়ের। এক-একজন এক-এক ধারার বলেই না এত রঙ, এত রূপ, এত সুর এই জগতটায় ! কোনও এক বসন্তদিনে নিজের বাসায় বসে দূরে কোনও কোকিলের কুহুরব শুনে স্বরটা কেমন চেনা চেনা লাগে

আপনার চারিপাশে হয়তো এমন অনেক আছে

Image
 এক মহিলা একটা অজগর সাপ পুষতো। সাপটাও মহিলাকে অসম্ভব ভালবাসতো। অজগরটা লম্বায় ৪ মিটার এবং দেখতেও বেশ স্বাস্থ্যবান ছিল।  একদিন হঠাৎ তার আদরের অজগর খাওয়া- দাওয়া বন্ধ করে দিল। কয়েক সপ্তাহ চলে গেল, কিন্তু সাপ কিছুই খায় না। আদরের সাপের এমন অবস্থায় মহিলা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেল  এবং উপায়- বুদ্ধি না পেয়ে শেষমেশ সাপটাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার সাহেব মনযোগ দিয়ে সব শুনলেন  এবং জিগেস করলেন- সাপটা কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়?  মহিলা উত্তর দিল- হ্যাঁ। - ঘুমানোর সময় এটা আস্তে আস্তে  আপনার কাছে ঘেঁসে? - হ্যাঁ - তারপর আস্তে আস্তে আপনাকে চারপাশে মুড়িয়ে ধরে? মহিলা বিস্মিত হলেন এবং জবাব দিলেন- এইবার চিকিৎসক খুবই ভয়ানক এবং  অপ্রত্যশিত কিছু বললেন। - ম্যাডাম, সাপটি আপনাকে জড়িয়ে ধরে, চারপাশ থেকে মুড়িয়ে ধরে,  কারণ  এটা আপনার মাপ নিচ্ছে। নিজেকে প্রস্তুত করছে আপনাকে আক্রমণ করার জন্য। এবং হ্যাঁ, সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করেছে যথেষ্ট জায়গা খালি করতে,  যাতে সহজেই আপনাকে হজম করতে পারে। এই গল্পে একটা মোরাল আছে। বিঃদ্রঃ- আপনার চারপাশে হয়ত এমন অনেকেই আছে যাদের আপনি কাছের মানুষ ভাবেন, যাদের দেখে মন

মায়াজাল

Image
 একফোঁটা মধু মাটিতে পড়ে আছে! পাশ দিয়ে ছোট্র একটি পিপীলিকা যাচ্ছিল! মধুর ঘ্রাণ নাকে ঢুকতেই থমকে দাঁড়াল! ভাবলো একটু মধু খেয়ে নেই! তারপর না হয় সামনে যাবো! এক চুমুক খেলো! বাহ্! খুব মজা তো! আর একটু খেয়ে নেই! আরেক চুমুক খেলো! তারপর সামনে চলতে লাগলো! হাটতে হাটতে ঠোঁটে লেগে থাকা মধু চেটে চেটে খাচ্ছিল! ভাবলো,এত মজার মধু আরেকটু খেয়ে নিলে কি হয়? আবার পিছনে ফিরলো! পূর্বে মধুর একপাশ থেকে খেয়েছিল! এবার চিন্তা করলো ভিতরে মনে হয় আরও মজা! এবার আস্তে আস্তে বেয়ে বেয়ে মধু ফোঁটার উপরে উঠে গেল! বসে বসে আরামছে মধু খাচ্ছে! খেতে খেতে এক পর্যায়ে পেট ফুলে গেল! ঐ দিকে আস্তে আস্তে পা দুটো মধুর ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে! তখনই হঠ্যাৎ টনক নড়লো তার! কিন্তু কতক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে! মধু থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে! কিন্তু নাহ্! মধুতে তার সমস্ত শরীর মাখামাখি অবস্থা! অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে আর উদ্ধার করতে সক্ষম হলো না! নাকে মুখে মধু ঢুকে দম বন্ধ হয়ে যেতে লাগল! অবশেষে.. পিপীলিকাটি মধুর ভিতরে আটকে পড়েই মৃত্যু বরণ করল!! এই বিশাল বড় দুনিয়াটাও এক ফোটা মধুর মত!  যে এই মধুর পাশে বসে  অল্পতে

ভালোবাসলে তার সবটা কে নিয়ে ভালোবাসুন

Image
 — এখন শরীর কেমন আছে? — তুমি কিভাবে জানলে! — ফোনে পিরিয়ডস অ্যালার্ট অ্যাপটা থেকে নোটিফিকেশন এসেছিল। কাজের চাপে তোমাকে কল করতেই একদম ভুলে গেছিলাম। ড্রাইভ করতে করতে মনে পড়লো; বাড়ি এসে ফ্রেস হয়েই তোমার কাছে এলাম। যায় হোক। — কি খাবে বলো... বানিয়ে নিয়ে আসি। — থাক; আমি চাওমিন আর চিলি-চিকেন নিয়ে এসেছি। তোমাকে উঠতে হবে না। এবারে ব্যাথা কেমন কিনকিনি? — খুব ব্যাথা। আর ভালো লাগছে না... কেন যে আমি মেয়ে হলাম! এত কষ্ট তো তোমাদের হয় না! সেই দুপুর থেকে শুয়ে আছি। উঠে বসার ক্ষমতা নেই আমার।  — দাঁড়াও, তোমার জন্য গরম জল করে আনি। একটু সেঁক করলে ভালো অনুভব করবে — তুমি বলবে কি পেইন কিলারগুলো কোথায় রেখেছো? — না বলবো না। ওষুধ খাওয়া খুব খারাপ। ডক্টর তোমাকে ওই ওষুধ গুলো খেতে না করেছে...  — রান্না করতে হবে; অনেক কাজ আছে। আমি উঠে বসতে পারছি না পিরিয়েডের ব্যাথায়... কি করে কাজগুলো করবো বলো!  — আমি তো আছি; তুমি চিন্তা করছো কেন! — না... তুমি সারাদিন কাজ করে এসে এই কাজ কেন করবে! — তুমি তো রোজ আমার মতোন কাজ করে এসেও সব কাজ করো। আমিও না হয়... এই ৩টে দিন করলাম। — তোমার মা থাকলে বলতেন; "ছেলেটার বাড়ি ফি

আপনি নিশ্চয়ই জিতবেন

Image
বিজ্ঞান বলে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক সুস্থ্য পুরুষ একবার সহবাস করলে যে পরিমান বীর্য নির্গত হয় তাতে ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। তো, লজিক অনুযায়ি মেয়েদের গর্ভে যদি সেই পরিমান শুক্রানু স্থান পেতো তাহলে ৪০ কোটি বাচ্চা তৈরি হতো! এই ৪০ কোটি শুক্রাণু, মায়ের জরায়ুর দিকে পাগলের মত ছুটতে থাকে, জীবিত থাকে মাত্র ৩০০-৫০০ শুক্রাণু। আর বাকিরা ? এই ছুটে চলার পথে ক্লান্ত অথবা পরাজিত হয়ে মারা যায়।এই ৩০০-৫০০ শুক্রাণু, যেগুলো ডিম্বানুর কাছে যেতে পেরেছে।তাদের মধ্যে মাত্র একটি মহা শক্তিশালী শুক্রাণু ডিম্বানুকে ফার্টিলাইজ করে, অথবা ডিম্বানুতে আসন গ্রহন করে। সেই ভাগ্যবান শুক্রাণুটি হচ্ছে আপনি কিংবা আমি, অথবা আমরা সবাই। কখনও কি এই মহাযুদ্ধের কথা মাথায় এনেছেন? ১। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন" তখন ছিলনা কোন চোঁখ হাত পা মাথা,তবুও আপনি জিতেছিলেন। ২। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন"তখন আপনার ছিলোনা কোন সার্টিফিকেট, ছিলোনা মস্তিষ্ক তবুও আপনি জিতেছিলেন। ৩। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার ছিলনা কোন শিক্ষা, কেউ সাহায্য করেনি তবুও আপনি জিতেছিলেন। ৪। আপনি যখন দৌড় দিয়েছিলেন তখন আপনার একটি গন্তব্য ছিলো এবং সেই গন্তব্যের দিকে উদ্দেশ্য