Posts

Showing posts from June, 2020

ডেমোডেক্স মাইট - Demodex Mite

Image
এরা বাস করে আমাদের চোখের পাপড়ির গোড়ায়। এখানেই খাওয়া দাওয়া বংশবৃদ্ধি সব করে এরা আর বের হয় না সচরাসর। মাঝে মাঝে আমরা যখন ঘুমিয়ে থাকি তখন আমাদের মুখের ওপরে চলাফেরা করে। এরা হয়ে থাকে ০.৩ মিলিমিটারের মতো লম্বা। বয়স যত বাড়তে থাকে, এদের দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা তত বাড়ে। তাছাড়া আপনার গালের উপর বাস করছে এরা বছরের পর বছর নামী কোম্পানির ক্রিম, ফেসওয়াস, বার বার জল দিয়ে ধোওয়া। মাসে কয়েক বার হয়তো পার্লারে খসে যায় মোটা টাকা। তাতেও কিস্সু লাভ নেই। মানুষের মুখে এদের বসবাস মান সভ্যতার জন্মলগ্ন থেকেই। বংশানুক্রমে। এদের ৪ জোড়া পা। অল্প নড়াচড়া করতে পারে। অনেকটা উকুনের মতো। ঠিক তাই, আপনি যতই মুখ পরিস্কার করুন, এই ধরনের বিদ্ঘুটে পোকার আপনার মুখ থেকে যায় না। মানুষের মুখে এদের বসবাস কয়েক হাজার বছর ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স-এর গবেষকরা সম্প্রতি চিহ্নিত করেছে এই পোকাগুলিকে। ৪ জোড়া পায়ের এই পোকাগুলির নিরাপদ আশ্রয় মানুষের রোমকূপে। পোকাটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ডেমোডেক্স ফলিকিউলারাম। বিশেষ করে ব্রন হলে এই পোকাগুলির দৌরাত্ম্য বাড়ে মুখমণ্ডলে। থাকে চোখের পাতাতেও। গবেষণায় দেখা গিয়

লো নামে পরিচিত এই সৌর বলায়

Image
লো নামে পরিচিত এই সৌর বলায় সূর্যের আলো বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে প্রতিসরণ হয়। যার দৃশ্যমান রূপ এই রামধনু বলয় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (নাসা) ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, এই বলয় ২২ ডিগ্রি হ্যালো (halo) নামে পরিচিত। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীরা বলেন, বায়ুমণ্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ছোট ছোট বরফকণা রয়েছে। সূর্যের আলো স্ট্রাটোস্ফিয়ারে পৌঁছানোর পর বরফে পড়ে তা প্রতিসরণ হয়। হ্যালো ২২ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২২ ডিগ্রি হলেই এই বলয় সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়। বায়ুমণ্ডলে জমে থাকা বরফ কণা থেকে প্রতিসরণ হওয়ায় বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, বায়ুমণ্ডলে বাতাসের গতি খুব কম থাকলে বরফের কণা একটি নির্দিষ্ট রূপে সজ্জিত হয়। এর ওপর সূর্যের আলো পড়লে প্রতিসরণ ঘটে। তখন সূর্যের আলো সাতটি রঙে ভেঙে যায়। চারপাশে রামধনূর মতো বলয় তৈরি হয়। বরফের ক্রিস্টালের ওপর সূর্যের আলো পড়ে সাতটি রঙে বিভক্ত হয়ে এই বলয় তৈরি হয়। আলোকিত এই বলয়ের নাম সৌরবলয় বা সোলার হালো।